1. mdbakiullahcox71@gmail.com : কক্স ২৪ : কক্স ২৪
  2. info@www.cox24.online : কক্স ২৪ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শহীদি রক্তের বদৌলতে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে আকসা মুসলমানদেরই থাকবেঃ মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।  ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। কক্সবাজারে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, জামায়াত নেতাসহ নিহত ৩। নতুন ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে শাসন কাঠামোর আমুল সংস্কার করতে হবেঃ নুর আহমদ আনোয়ারী। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুর ফাঁদ। ঈদের জামাতে আসিফ কেন আলাদা কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন, জানা গেল কারণ। আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন-এর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! আলো পোর ফাউন্ডেশর-এর পক্ষ থেকে প্রবাসে অবস্থানরত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। প্রবাল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। আজ ২৫তম রমযানের রাত্রি।আজ রাতেও হতে পারে শবে কদর। আমদানি করা কয়লায় মাটি, ফিরিয়ে দেওয়া হলো চালান। আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন এর উদ্যোগে মাদ্রাসার বাচ্চাদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পূর্ণ। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা জরুরীঃ সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবেঃ শাহজাহান চৌধুরী। প্রবাসী ইউনিয়নের উদ্যোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। শবে কদর বা লাইলাতুলকদরের ফজিলত,বিশেষ আমল ও লক্ষণ সমূহঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ। চকরিয়া পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার ৮নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। বদরের প্রান্তরে ইসলামের বিজয় বিশ্বব্যাপী ইসলাম চেতনা কে শাণিত করেছিলঃ নুর আহমদ আনোয়ারী। সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইমারত শাখার দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। ধলঘাটা মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া পাঠাগারের ১২ তম মাহফিল সম্পন্ন। বাংলা ভিশন’ টিভিতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া পৌরসভার দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির সম্পন্ন। চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির সম্পন্ন। রোযা হচ্ছে জাহান্নামের ঢাল,এই ঢালকে অক্ষুণ্ণ রাখুনঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ। চকোরিয়া পুলেরছড়া দাখিল মাদরাসায় দুদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা সম্পন্ন। রফিকুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন। জামায়াত নেতা আজহারের মুক্তির দাবীতে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ। সফল মুমিনের কয়েকটি গুণঃ মাওলানা বাকী বিল্লাহ। কোরক বিদ্যাপীঠে পাঁচদিনের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন। যে সাত শ্রেণির মানুষের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন। ছাইরাখালী প্রিমিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা এবং বিদায় অনুষ্ঠান। চকরিয়া আওয়ামী লীগের ১১ নেতা কর্মী আটক। শবে বরাতঃ ফজিলত পূর্ণ এক রাত। বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে শরে বারাতঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ। মোহাম্মদীয়া পাঠাগারের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধলঘাটা ইউনিয়ন শাখা দায়িত্বশীল সমাবেশ। দৈনিক পূর্বকোণের ৪০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের শুভেচ্ছা। চকরিয়া ভোজনবিলাসীদের জন্য নতুন সংযোজন ইটালিয়া রেস্টুরেন্ট।। কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিনকে কারাগারে প্রেরণ। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের পঞ্চমদিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারি। ছাত্রলীগের নাশকতা ঠেকাতে চকোরিয়া বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল। কক্সবাজারে আমীর জামায়াত আগমন উপলক্ষে চকোরিয়া পৌর ব্যবসায়ীর উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের চতুর্থদিনে মুফতি আমির হামজা। মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর সহধর্মিনীর ইন্তেকালে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের শোক, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন, কোরআনে বর্ণিত মুমিনদের সাত বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায় নি লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান বা শাবানের মধ্য রজনী হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে টিকটক লাইভের সময় গুলিতে নিহত কোরআন পোড়ানো ইসলাম বিদ্বেষী আজকের হাদিস ভারতকে কোনো বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না: বিজিবি মহাপরিচালক বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের হয়নি -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সন্তানকে বাঁচাতে কিডনি দিবেন মা কক্সবাজার কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের চকরিয়ায় রেলওয়ের স্টেশনে স্টপেজ ও কাউন্টার চালুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিলের ৩য় দিন। মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া পাঠাগারের ১২ তম মাহফিল এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক সরোয়ারকে জয়পুরহাটে বদলি সর্দি-কাশি কমাতে সারাদিন কতবার আদা পানি খাবেন? আমিরে জামায়াতের আগমনঃ চকরিয়া পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের প্রস্তুতি সভা আমিরে জামায়াতের আগমনঃ রামু উপজেলার প্রস্তুতি সভা ইয়োলো হোস্ট বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এবং নির্ভরযোগ্য ওয়েব হোস্টিং সেবা দাতা ইয়োলো হোস্ট বাংলাদেশের সেরা ওয়েব হোস্টিং সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান সম্প্রচার চকরিয়া পৌরশহরে জামায়াতে ইসলামী দাওয়াতী অভিযানে ব্যাপক সাড়া। গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার ইসলামী ছাত্রসেনার উদ্যোগে মানববন্ধন। জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেঃ মোহাম্মদ শাহজাহান। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ। আমি উন্মাদঃ মুহাম্মদ শওকত আলী। চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামের দাওয়াতি গণসংযোগ। চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে পৌরসভা জামায়াত। চকরিয়া আইন শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক। হাজার টাকায় রক্ত পরিসঞ্চালন খরচ নির্ধারণের দাবি মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের। পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

রোযা হচ্ছে জাহান্নামের ঢাল,এই ঢালকে অক্ষুণ্ণ রাখুনঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ।

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

“রোযা হচ্ছে জাহান্নামের ঢাল,এই ঢালকে অক্ষুণ্ণ রাখুন।”

মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ (খতিব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম)

রমযানুল মুবারকের এই মাসের দিবস- রজনীকে আল্লাহ খায়ের ও বরকত দ্বারা পূর্ণ করে রেখেছেন। তাকওয়া অনুশীলন,ইবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সকল আমলের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের এটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে। গোটা বছরের ঈমানী প্রস্ত্ততি এ মাস থেকেই গ্রহণ করে। হাদীস শরীফের ভাষায় :
আবু হুরাইরা রা.থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন,
مَا أَتَى عَلَى الْمُسْلِمِينَ شَهْرٌ خَيْرٌ لَهُمْ مِنْ رَمَضَانَ، وَلَا أَتَى عَلَى الْمُنَافِقِينَ شَهْرٌ شَرٌّ لَهُمْ مِنْ رَمَضَانَ، وَذَلِكَ لِمَا يُعِدُّ الْمُؤْمِنُونَ فِيهِ مِنَ الْقُوَّةِ لِلْعِبَادَةِ، وَمَا يُعِد فِيهِ الْمُنَافِقُونَ مِنْ غَفَلَاتِ النَّاسِ وَعَوْرَاتِهِمْ، هُوَ غنْم الْمُؤْمِن يَغْتَنِمُهُ الْفَاجِرُ.
আল্লাহর কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।[মুসনাদে আহমাদ-৮৩৬৮ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা-৮৯৬৮ সহীহ ইবনে খুযাইমা-১৮৮৪ বাইহাকী শুআবুল ঈমান-৩৩৩৫]

উপরোক্ত হাদীস থেকে বোঝা গেল যে, রমযানের খায়ের ও বরকত থেকে বঞ্চিত থাকা মুনাফিকীর লক্ষ্মণ ।

এরই সঙ্গে মহান আল্লাহ আরো অনুগ্রহ এই করেছেন যে, এ মাসে সৃষ্টিজগতে এমন অনেক অবস্থা ও পরিবর্তনের সূচনা করেন যা গোটা পরিবেশকেই খায়ের ও বরকত দ্বারা ভরপুর করে দেয়। যথা-

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابُ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ، وَيُنَادِي مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ، وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ، وَلِلّٰهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذٰلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ.
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রসূল সা. বলেছেন-যখন রমাযান মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও অবাধ্য জীনদেরকে বন্দী করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর একটিও খোলা রাখা হয় না। এদিকে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। একটিও বন্ধ রাখা হয় না। আহবানকারী ফেরেশতা ঘোষণা দেন, হে কল্যাণ অনুসন্ধানকারী! আল্লাহর কাজে এগিয়ে যাও। হে অকল্যাণ ও মন্দ অনুসন্ধানী! অকল্যাণ কাজ হতে থেমে যাও। এ মাসে আল্লাহই মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করেন এবং এটা রমাযান মাসের প্রত্যেক রাতেই হয়ে থাকে।[তিরমিযী ৬৮২,ইবনু মাজা১৬৪২,ইবনু খুযায়মাহ্ ১৮৮৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৩২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫০১,ইবনু হিববান ৩৪৩৫, সহীহ আল জামি‘ ৭৫৯,মিশকাত-১৯৬০]

এসবের প্রভাবে রমযান মাসে মুমিন নর-নারীগন ভালো কাজের দিকে আগ্রহ হতে থাকে,এবং হিম্মতের সঙ্গে কর্মের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ে।

আমরা যদি রমযানের ফাযাইল সম্পর্কে অবগত হলে তবে বুঝতে পারব যে, রমযান হল আখিরাতের ব্যবসার মওসুম। যে ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ আখিরাতের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে, যে ব্যবসার লভ্য হল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতুন নায়ীম, যে ব্যবসাতে সফল হওয়া ছাড়া দুনিয়ার সকল ব্যবসাই শুধু ব্যর্থতা ও ব্যর্থতা।

রমযানে জাগতিক ব্যবসা নিষিদ্ধ নয়, তবে এমনভাবে তাতে মগ্ন হয়ে পড়া যেন এ মাস এই ব্যবসারই জন্য এসেছে-এটা এই নেয়ামতের না-শোকরী ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশেষত ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রমযানের শেষ দশকে যে অবস্থা আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয় তা তো খুবই বেদনাদায়ক। ব্যবসায়ীগণ তাদের পণ্য বিক্রিতে মশগুল, আর অন্যরা শুধু পণ্য ক্রয়ে নয়, মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোর পরিদর্শন ও প্রদক্ষিণে মগ্ন, না ফরয নামাযের জামাতে, না তারাবীর জামাতে উপস্থিতি, না পূর্ণ তারাবী পড়ার তাওফীক। তিলাওয়াত, তাসবীহ, দুআ ও কান্নাকাটির তো প্রশ্নই অবান্তর। এরপর নগ্নতা ও নারী-পুরুষের সহবিচরণসহ অন্যান্য হারাম কাজগুলো তো রয়েছেই, যেগুলো লানত ও অভিশম্পাত ডেকে আনে।

মনে রাখা উচিত যে, প্রকৃত পক্ষে রমযান হল, আখেরাতের ব্যবসার মওসুম। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি ইবাদত- বন্দেগীতে অতিবাহিত করা উচিত। অন্তত ফরয রোযা এবং সুন্নতে মুয়াক্কাদা তারাবীর সঙ্গে সেহরীর সময় তাহাজ্জুদ, কিছু পরিমাণে হলেও যিকির ও তেলাওয়াত প্রত্যেকেরই করা উচিত। বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে এতখানি মগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, ফরয নামাযের জামাত ও তারাবী ছুটে যায়। এছাড়া ব্যবসাতে ধোকাবাজি ও প্রতারণা এবং সুদ ও জুয়াসহ অন্য সকল হারাম কার্যকলাপ থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরয, রমযান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কেননা, বরকতপূর্ণ সময়ের গুনাহও অত্যন্ত কঠিন ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।

রোযা গুনাহ থেকে রক্ষাকারী ঢাল। রোযার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া পয়দা হয়। ঈমানী লজ্জা জাগ্রত হয়, যা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার অনেক বড় উপায়। রোযা কবরে, হাশরে এবং আখিরাতের সকল স্থানে বান্দার জন্য ঢাল। সর্বশেষে জাহান্নামের আগুন থেকেও রক্ষাকারী ঢাল। যথা-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الصِّيَامُ جُنَّةٌ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَجْهَلْ وَإِنْ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ مَرَّتَيْنِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ تَعَالَى مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ يَتْرُكُ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي الصِّيَامُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,রসূল সা. বলেছেন- সিয়াম বা রোযা ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সওম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুগন্ধির চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুণ।[বুখারী-১৮৯৪]

® তৎসংশ্লিষ্ট আরও দুটি হাদীস পেশ করছি।
1-عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ للهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন-যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।[বুখারী-১৯০৩]
2-عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله ﷺ ليس الصيام من الأكل والشرب، إنما الصيام من اللغو والرفث، فإن سابك أحد أو جهل عليك فقل: إني صائم، إني صائم .
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন-রোযা শুধু পানা-হার ত্যাগের নাম নয়; বরং অশ্লীল ও অর্থহীন কাজ থেকেও বেঁচে থাকা জরুরি। অতএব কেউ যদি রোযাদারের সঙ্গে ঝগড়া করতে থাকে কিংবা মূর্খসূলভ আচরণ করতে থাকে তখন এ কথা ভেবে নিজেকে নিবৃত্ত রাখবে যে,আমি রোযাদার, আমি রোযাদার।[ইবনে খুযায়মা-১৯৯৬, ইবনে হিববান-৩৪৭০]

তবে এগুলো তখনই হবে যখন রোযা শুধু রোযা না হয়ে প্রকৃত রোযা হবে। শুধু রোযা বলতে উদ্দেশ্য হল সঠিক নিয়তের সঙ্গে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রীমিলন এবং ওইসব কাজকর্ম থেকে বিরত থাকা যা ফিকহ ও ফতোয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে রোযাকে বিনষ্ট করে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এটুকুদ্বারা রোযার অপরিহার্যতা থেকে দায়মুক্ত হওয়া যায়, কিন্তু এটুকুদ্বারা রোযা ‘ঢাল’ হয় না। রোযা তখনই ঢাল হয় যখন ঈমান ও সাওয়াব লাভের আশারসঙ্গে তা আদায় করা হয় এবং রোযার সকল আদব রক্ষা করা হয়।

রোযার আদবগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে এভাবে বলা যায় যে, রোযার অবস্থাতে রোযাদার আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ওইসব কাজ পরিত্যাগ করে যা তার জন্য অন্য মাসগুলোতে হালাল ছিল এবং রমযানের রাতেও যা তার জন্য হালাল। এ বিষয়গুলো শুধু এজন্য পরিত্যাগ করে যে, রোযার অবস্থাতে এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকার আদেশ আল্লাহ দিয়েছেন। তাহলে যে সব মন্দ কাজ সব সময়ের জন্য আল্লাহ হারাম ও নিষিদ্ধ করেছেন যথা গীবত, শেকায়েত, মিথ্যা, প্রতারণা, সুদ, জুয়া, খিয়ানত, আত্মসাৎ, ঝগড়া-বিবাদ, হারাম পানাহার, নামায না পড়া, সিনেমা, টিভি দেখা ইত্যাদি পরিহার করা কি অপরিহার্য নয়? মোটকথা রোযার আদব এটাই যে, হারাম কাজ ও হারাম বিষয়াদি থেকে বিরত থাকবে এবং শুধু দুই অঙ্গ নয়, শরীরের সকল অঙ্গের রোযা রাখবে। মুখ, কান, চোখ এবং হাত-পা সকল অঙ্গকে গুনাহ থেকে পবিত্র রাখবে। যাতে ওই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত না হতে হয় যা ওই দুই মহিলা সম্পর্কে বলা হয়েছে, যারা রোযার হালতে অন্যের গীবত করেছিল। যথা-
عن عبيد مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أنَّ امرأتينِ صامتَا على عهْدِ رسولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ، فجلسَتْ إحداهما إلى الأُخرى، فجعَلَتا تأْكُلانِ لُحومَ النَّاسِ، فجاء رجُلٌ إلى رسولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ، فقال يا رسولَ اللهِ، إنَّ هاهنا امرأتينِ صامَتَا، وقد كادَتا أنْ تموتَا مِن العطشِ، فأعرَضَ عنه رسولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ أو سكَتَ، ثمَّ جاءه بعدَ ذلك أحسَبُه قال في الظَّهيرةِ فقال يا رسولَ اللهِ، إنَّهما واللهِ لقد ماتَتا، أو كادَتا أنْ تموتَا، فقال رسولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ: ائتُوني بهما، فجاءتا، فدعا بعُسٍّ، أو قدَحٍ، فقال لإحداهما قِي. فقاءت مِن قَيحٍ ودَمٍ وصديدٍ، حتَّى قاءت نِصفَ القدَحِ، وقال للأُخرى: قِي. فقاءت مِن قَيحٍ ودَمٍ وصَديدٍ، حتَّى ملأتِ القدَحَ. ثمَّ قال رسولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ إِنَّ هَاتَيْنِ صَامَتَا عَمَّا أَحَلَّ اللهُ لَهُمَا وَأَفْطَرَتَا عَلى مَا حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِمَا؛ جلسَتْ إحداهما إلى الأُخرى، فجعَلَتا تأكُلانِ لُحومَ النَّاسِ.
এরা দুজন ওই কাজগুলো থেকে তো বিরত থেকেছে যা আল্লাহ (অন্য সময়) তাদের জন্য হালাল করেছেন,কিন্তু ওইসব কাজ থেকে বিরত থাকেনি যা আল্লাহ সবসময়ের জন্য হারাম করেছেন। [মুসনাদে আহমদ-২২৫৪৫]

® রাসূল সা.রোযার ঢালকে ছিদ্র না করার জন্য খুব বেশী শতর্ক করেছেন। যথা-
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الصَّوْمُ جُنَّةٌ مَا لَمْ يَخْرِقْهَا. قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي بِالْغِيبَةِ.
আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রা.থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, আমি রাসুল সা.কে বলতে শুনেছি যে, সাওম ঢালস্বরুপ যতক্ষণ পর্যন্ত তা ভেঙ্গে ফেলা না হয়।[মাজমাউয যাওয়াইদ-৩৮৩০ ইবনে খুযায়মা-১৮৯২]

عن جابر بن عبد الله، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قال ربنا، عز وجل الصيام جنة، يستجير بها العبد من النار، وهو لي، وأنا أجزي به.
জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা.হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই রাসূল সা.বলেন, আমাদের মুহান রব বলেন-বোযা হচ্ছে ঢাল। যা দ্বারা বান্দা জাহান্নামের আগুন হতে নিজকে রক্ষা করতে পারে। এবং রোযা আমার জন্য আমিই তার প্রতিদান দেব।[মুসনদে আহমদ-১৪৬৬৯]
সাহাবাগন জিজ্ঞাসা করলেন, কীভাবে রোযা রুপী ঢাল বিদীর্ণ হয়ে যায়? নবী সা.বললেন-
بِكَذِبٍ أَوْ غِيْبَةٍ
মিথ্যা বললে কিংবা গীবত করলে। [তবরানী, আওসাত- ৭৮১০]
★সত্যবাদীকে রাসূল সা.সিদ্দিক উপাধিতে ভূশিত করেছেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يَكُونَ صِدِّيقًا، وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ، حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا.‏
আবদুল্লাহ রা.থেকে বর্ণিত, নবী স. বলেছেন সত্য নেকীর দিকে পরিচালিত করে আর নেকী জান্নাতে পৌঁছায়। আর মানুষ সত্যের উপর কায়িম থেকে অবশেষে সিদ্দীক এর দরজা লাভ করে। আর মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়, পাপ তাকে জাহান্নামে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহ্‌র কাছে মহামিথ্যাচারী প্রতিপন্ন হয়ে যায়।[বুখারী-৬০৯৪]

★অধিকাংশ মানুষকে জুবানের কারনে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ.‏ قَالَ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ.‏ ثُمَّ قَالَ ‏أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ تَلاََ‏:‏(‏تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ)‏ حَتَّى بَلَغَ‏(‏يَعْمَلُونَ‏)‏ ثُمَّ قَالَ ‏أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ.‏ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ.‏ قَالَ رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ.‏ ثُمَّ قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ.‏ قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ فَقَالَ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ ‏
মুআয ইবনু জাবাল রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি কোন এক ভ্রমণে নবী সা. এর সাথে ছিলাম। একদিন যেতে যেতে আমি তার নিকটবর্তী হলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সা.! এমন একটি কাজ সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম হতে দূরে রাখবে। তিনি বললেন-তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা সহজ করে দেন। তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ করবে। তিনি আরো বললেন-আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহ সম্পর্কে বলে দিব না? রোযা হলো ঢালস্বরূপ, দান-খাইরাত গুনাহসমূহ বিলীন করে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় এবং কোন ব্যক্তির মধ্যরাতের নামায আদায় করা। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “তাদের দেহ পাশ বিছানা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা তাদের প্রভুকে ডাকে আশায় ও ভয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ।” (সূরা সাজদাহ ১৬,১৭)তিনি আবার বলেন- আমি কি সমস্ত কাজের মূল, স্তম্ভ ও সর্বোচ্চ শিখর সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন-সকল কাজের মূল হলো ইসলাম, স্তম্ভ হলো নামায এবং সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। তিনি আরো বললেন-আমি কি এসব কিছুর সার সম্পর্কে তোমাকে বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেন-এটা সংযত রাখ। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নাবী! আমরা যে কথা-বার্তা বলি এগুলো সম্পর্কেও কি পাকড়াও করা (জবাবদিহি) হবে? তিনি বললেন-হে মুআয! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষকে শুধুমাত্র জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।[ইবনু মাজা-৩৯৭৩,তিরমিজি-২৬১৬]

★যেহেতু অধিকাংশ মানুষ জুবানের কারনে জাহান্নামে যাবে তাই রাসূল সা.অধিক কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
عَنْ وَرَّادٍ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى الْمُغِيرَةِ أَنِ اكْتُبْ إِلَىَّ بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةُ أَنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةِ الْمَالِ، وَمَنْعٍ وَهَاتِ، وَعُقُوقِ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدِ الْبَنَاتِ‏.‏
মুগীরাহ ইবনু শুবাহ রা.এর কাতিব ওয়াররাদ রা.থেকে বর্ণিত,মুআবিয়াহ রা.মুগীরাহ ইবনু শুবাহ রা.কে চিঠি লিখলেন যে,আপনি আমার কাছে একটা হাদীস লিখে পাঠান, যা আপনি রাসূল সা.থেকে শুনেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মুগীরাহ ইবনু শুবাহ রা.তাঁর কাছে লিখে পাঠালেন, আশি নিশ্চয়ই নাবী সা.কে সালাত থেকে ফিরার সময় বলতে শুনেছি।لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং হাম্দ তাঁরই। তিনি সবার উপর শক্তিমান। আর তিনি নিষেধ করতেন অনর্থক কথা নিয়ে বাদানুবাদ করা হতে, অধিক প্রশ্ন করা হতে, মালের অপচয় করা হতে, আর তিনি নিষেধ করেছেন, কৃপনতা ও ভিক্ষা বৃত্তি হতে, মাতাপিতার অবাধ্যতা এবং কন্যাদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করা হতে।[বুখারী-৬৪৭৩]

★জুবানের যিম্মাদারী নিতে পারলে তার জান্নাতের যিম্মাদারী রাসূল সা.নিজে নিয়েছেন।
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ.‏
সাহল ইবনু সাদ রা.থেকে বর্ণিত, রাসূল সা.বলেছেন-যে ব্যক্তি তার দুচোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দুরানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তাঁর জান্নাতের যিম্মাদার।[বুখারী-৬৪৭৪]
★অধিক কথাবার্তায় মানুষের মুখ দিয়ে এমন কিছু কথা বের হয়ে যায় যার জন্য তাকে জান্নামে যেতে হবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ فِيهَا يَزِلُّ بِهَا فِي النَّارِ أَبْعَدَ مِمَّا بَيْنَ الْمَشْرِقِ.
আবু হুরাইরা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি রসূল সা.কে বলতে শুনেছেন যে,নিশ্চয় বান্দা পরিণাম চিন্তা ব্যতিরেকেই এমন কথা বলে যে কথার কারণে সে ঢুকে যাবে জাহান্নামের এমন গভীরে যার দূরত্ব পূর্ব (পশ্চিম) এর দূরত্বের চেয়েও বেশী।
ফুটনোট:নেক আমল করা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি কুফরি কথাবার্তা বললে তা তাকে জাহান্নামের সর্বশেষ স্তরে পৌঁছে দিবে ।[বুখারী-৬৪৭৭,মুসলিম-২৯৮৮]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ لاَ يُلْقِي لَهَا بَالاً يَرْفَعُهُ اللهُ بِهَا دَرَجَاتٍ وَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ لاَ يُلْقِي لَهَا بَالاً يَهْوِي بِهَا فِي جَهَنَّمَ.
আবু হুরাইরা রা.থেকে বর্ণিত,নবী সা. বলেছেন-নিশ্চয় বান্দা কখনও আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন কথা বলে অথচ সে কথা সম্পর্কে তার চেতনা নেই। কিন্তু এ কথার দ্বারা আল্লাহ্ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবার বান্দা কখনও আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে ফেলে যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা নেই, অথচ সে কথার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে [বুখারী-৬৪৭৮, মুসলিম-২৯৮৮]

★ যার হাত ও জিহ্বা হতে অপরজন নিরাপত্তা পায় সে পৃথিবীর উত্তম মানুষ।
عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الْمُسْلِمِينَ أَفْضَلُ قَالَ ‏مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ.‏
আবূ মূসা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সা.কে প্রশ্ন করা হলো-সবচেয়ে ভাল মুসলিম কে? তিনি বলেন-যে ব্যক্তির জিহ্বা (কথাবার্তা) ও হাত (কাজ) হতে মুসলিমগণ নির্বিঘ্ন থাকে।[বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি-২৫০৪]

★ ইমান পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য জুবানের সংরক্ষণ অপরিহার্য।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَا يَسْتَقِيمُ إِيمَانُ عَبْدٍ حَتَّى يَسْتَقِيمَ قَلْبُهُ وَلَا يَسْتَقِيمُ قَلْبُهُ حَتَّى يَسْتَقِيمَ لِسَانُهُ وَلَا يَدْخُلُ رَجُلٌ الْجَنَّةَ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ٠
আনাস রা.কর্তৃক বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, কোন বান্দার ঈমান দুরস্ত হয় না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তার হৃদয় দুরস্ত হয় এবং তার হৃদয়ও দুরস্ত হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না তার জিহবা দুরস্ত হয়। আর সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা না পায়।[আহমাদ১৩০৪৮,ত্বাবারানী ১০৪০১]

★মুক্তির জন্য চুপ থাকই শ্রেয়।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَمَتَ نَجَا.‏
আবদুল্লাহ ইবনু আমর রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সা.বলেছেন-যে লোক নীরব থাকলো, সে নাজাত (মুক্তি) পেলো।[সহীহাহ-৫৩৫,তিরমিজি-২৫০১]

★যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখবে সে অবশ্যয় হয় উত্তম কথা বলবে না হয় চুপ থাকবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِ جَارَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ .‏
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রসূল সা. বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহতে ও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। যে আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে জ্বালাতন না করে। যে লোক আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে, অথবা চুপ থাকে।[বুখারী-৬০১৮,মুসলিম-৪৭,আহমাদ- ৭৬৩০]

★ মানুষ সকালে ঘুম হতে উঠার সময় তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিনীতভাবে জিহবাকে আল্লাহর ভয় দেখাই।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رَفَعَهُ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ ابْنُ آدَمَ فَإِنَّ الأَعْضَاءَ كُلَّهَا تُكَفِّرُ اللِّسَانَ فَتَقُولُ اتَّقِ اللَّهَ فِينَا فَإِنَّمَا نَحْنُ بِكَ فَإِنِ اسْتَقَمْتَ اسْتَقَمْنَا وَإِنِ اعْوَجَجْتَ اعْوَجَجْنَا ‏
আবূ সাঈদ আল-খুদরী রা.থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন-মানুষ সকালে ঘুম হতে উঠার সময় তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিনীতভাবে জিহবাকে বলে, তুমি আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। আমরা তো তোমার সাথে সম্পৃক্ত। তুমি যদি সোজা পথে দৃঢ় থাক তাহলে আমরাও দৃঢ় থাকতে পারি। আর তুমি যদি বাঁকা পথে যাও তাহলে আমরাও বাঁকা পথে যেতে বাধ্য।[তিরমিজি-২৪০৭, মিশকাত-৪৮৩৮]

★মিথ্যা পরিত্যাগ করার উপকারিতা।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ.
আবূ উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, রাসূল সা.বলেছেন, যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার।[আবু দাউদ-৪৮০০]

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ اضْمَنُوا لِي سِتًّا مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَضْمَنْ لَكُمْ الْجَنَّةَ اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ وَأَوْفُوا إِذَا وَعَدْتُمْ وَأَدُّوا إِذَا اؤْتُمِنْتُمْ وَاحْفَظُوا فُرُوجَكُمْ وَغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ وَكُفُّوا أَيْدِيَكُمْ٠
উবাদাহ বিন স্বামেত রা.বলেন, নবী সা. বলেছেন, তোমরা নিজেদের পক্ষ থেকে আমার জন্য ছয়টি জিনিসের যামিন হয়ে যাও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের যামিন হয়ে যাব; কথা বললে সত্য কথা বল, ওয়াদা করলে পূরণ কর, তোমাদের নিকট আমানত রাখা হলে তা আদায় কর, লজ্জাস্থানের হিফাযত কর, চক্ষু অবনত কর এবং হাতকে সংযত রাখ।[আহমাদ ২২৭৫৭,সহীহুল জামে-১৮৯৮]

★মুক্তির এক মাত্র উপায় জুবানের সংরক্ষণ।
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا النَّجَاةُ قَالَ أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ وَابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ.‏
উকবা ইবনু আমির রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সা.! মুক্তির উপায় কি? তিনি বললেন- তুমি তোমার রসনা সংযত রাখ, তোমার বাসস্থান যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (অর্থাৎ তুমি তোমার বাড়ীতে অবস্থান কর) এবং তোমার গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।[তিরমিজি-২৪০৬]

★মিথ্যা বলার ভয়াবহতা।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏إِذَا كَذَبَ الْعَبْدُ تَبَاعَدَ عَنْهُ الْمَلَكُ مِيلاً مِنْ نَتْنِ مَا جَاءَ بِهِ.‏
ইবনু উমার রা.থেকে বর্ণিত,রাসূল সা. বলেন-কোন বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা কথনের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতা এক মাইল (বা দৃষ্টি সীমার বাইরে) দূরে সরে যায়।[তিরমিজি-১৯৭২]

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ خُلُقٌ أَبْغَضَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْكَذِبِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُحَدِّثُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْكِذْبَةِ فَمَا يَزَالُ فِي نَفْسِهِ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ مِنْهَا تَوْبَةً ‏.‏
আইশা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, মিথ্যা হতে অধিক ঘৃণিত চরিত্র রাসূল সা.এর নিকট আর কিছুই ছিল না। রাসূল সা.এর সামনে কেউ মিথ্যা বললে তা অবিরত তার মনে থাকত, যে পর্যন্ত না তিনি জানতে পারতেন যে, মিথ্যাবাদী তাঁর মিথ্যা কথন হতে তাওবাহ করেছে।[তিরমিজি-১৯৭৩]

★মিথ্যা থেকে বাচার জন্য বেশী কথা থেকে বিরত থাকুন।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تُكْثِرُوا الْكَلاَمَ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ فَإِنَّ كَثْرَةَ الْكَلاَمِ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ قَسْوَةٌ لِلْقَلْبِ وَإِنَّ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنَ اللَّهِ الْقَلْبُ الْقَاسِي.‏
ইবনু উমার রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন: রাসূল সা. বলেছেন-আল্লাহর যিকির ছাড়া বেশী কথা বলো না। কেননা, আল্লাহর যিকির ছাড়া বেশী কথা বললে অন্তর কঠিন হয়ে যায়। আর নিঃসন্দেহে কঠিন অন্তরের লোকই আল্লাহ থেকে সবচেয়ে বেশী দূরে থাকে।[তিরমিজি-২৪১১, মিশকাত-২২৭৬]

আমরা নিন্মলিখিত দুটি দোয়া বেশী বেশী করে পড়ার চেষ্টা করি।
رَبِّ أَوْزِعْنِىٓ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِىٓ أَنْعَمْتَ عَلَىَّ وَعَلٰى وٰلِدَىَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صٰلِحًا تَرْضٰىهُ وَأَدْخِلْنِى بِرَحْمَتِكَ فِى عِبَادِكَ الصّٰلِحِينَ
হে আমার প্রভু! আপনি আমার প্রতি ও আমার বাবা- মার প্রতি যে (রহমত) অনুগ্রহ দান করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমাকে শক্তি দান করুন আর যেন এমন (নেক আমল) সৎকাজ করতে পারি যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন আর আপনি দয়া করে আমাকে আপনার সৎকর্মশীল (নেক) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন।[সুরা নামল-১৯]
عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاء.
যিয়াদ ইবনু ইলাক্বাহ রহ.হতে তার চাচা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,নবী সা.বলতেন- “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে গর্হিত চরিত্র, গর্হিত কাজ ও কু-প্রবৃত্তি হতে আশ্রয় চাই”।[তিরমিজি-৩৫৯১,মিশকাত- ২৪৭১]

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট