1. mdbakiullahcox71@gmail.com : কক্স ২৪ : কক্স ২৪
  2. info@www.cox24.online : কক্স ২৪ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শহীদি রক্তের বদৌলতে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে আকসা মুসলমানদেরই থাকবেঃ মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।  ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। কক্সবাজারে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, জামায়াত নেতাসহ নিহত ৩। নতুন ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে শাসন কাঠামোর আমুল সংস্কার করতে হবেঃ নুর আহমদ আনোয়ারী। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুর ফাঁদ। ঈদের জামাতে আসিফ কেন আলাদা কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন, জানা গেল কারণ। আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন-এর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! আলো পোর ফাউন্ডেশর-এর পক্ষ থেকে প্রবাসে অবস্থানরত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। প্রবাল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। আজ ২৫তম রমযানের রাত্রি।আজ রাতেও হতে পারে শবে কদর। আমদানি করা কয়লায় মাটি, ফিরিয়ে দেওয়া হলো চালান। আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন এর উদ্যোগে মাদ্রাসার বাচ্চাদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পূর্ণ। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা জরুরীঃ সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবেঃ শাহজাহান চৌধুরী। প্রবাসী ইউনিয়নের উদ্যোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। শবে কদর বা লাইলাতুলকদরের ফজিলত,বিশেষ আমল ও লক্ষণ সমূহঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ। চকরিয়া পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার ৮নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। বদরের প্রান্তরে ইসলামের বিজয় বিশ্বব্যাপী ইসলাম চেতনা কে শাণিত করেছিলঃ নুর আহমদ আনোয়ারী। সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইমারত শাখার দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। ধলঘাটা মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া পাঠাগারের ১২ তম মাহফিল সম্পন্ন। বাংলা ভিশন’ টিভিতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া পৌরসভার দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির সম্পন্ন। চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির সম্পন্ন। রোযা হচ্ছে জাহান্নামের ঢাল,এই ঢালকে অক্ষুণ্ণ রাখুনঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ। চকোরিয়া পুলেরছড়া দাখিল মাদরাসায় দুদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা সম্পন্ন। রফিকুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন। জামায়াত নেতা আজহারের মুক্তির দাবীতে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ। সফল মুমিনের কয়েকটি গুণঃ মাওলানা বাকী বিল্লাহ। কোরক বিদ্যাপীঠে পাঁচদিনের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন। যে সাত শ্রেণির মানুষের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন। ছাইরাখালী প্রিমিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা এবং বিদায় অনুষ্ঠান। চকরিয়া আওয়ামী লীগের ১১ নেতা কর্মী আটক। শবে বরাতঃ ফজিলত পূর্ণ এক রাত। বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে শরে বারাতঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ। মোহাম্মদীয়া পাঠাগারের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধলঘাটা ইউনিয়ন শাখা দায়িত্বশীল সমাবেশ। দৈনিক পূর্বকোণের ৪০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের শুভেচ্ছা। চকরিয়া ভোজনবিলাসীদের জন্য নতুন সংযোজন ইটালিয়া রেস্টুরেন্ট।। কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিনকে কারাগারে প্রেরণ। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের পঞ্চমদিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারি। ছাত্রলীগের নাশকতা ঠেকাতে চকোরিয়া বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল। কক্সবাজারে আমীর জামায়াত আগমন উপলক্ষে চকোরিয়া পৌর ব্যবসায়ীর উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের চতুর্থদিনে মুফতি আমির হামজা। মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর সহধর্মিনীর ইন্তেকালে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের শোক, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন, কোরআনে বর্ণিত মুমিনদের সাত বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায় নি লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান বা শাবানের মধ্য রজনী হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে টিকটক লাইভের সময় গুলিতে নিহত কোরআন পোড়ানো ইসলাম বিদ্বেষী আজকের হাদিস ভারতকে কোনো বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না: বিজিবি মহাপরিচালক বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের হয়নি -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সন্তানকে বাঁচাতে কিডনি দিবেন মা কক্সবাজার কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের চকরিয়ায় রেলওয়ের স্টেশনে স্টপেজ ও কাউন্টার চালুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিলের ৩য় দিন। মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া পাঠাগারের ১২ তম মাহফিল এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক সরোয়ারকে জয়পুরহাটে বদলি সর্দি-কাশি কমাতে সারাদিন কতবার আদা পানি খাবেন? আমিরে জামায়াতের আগমনঃ চকরিয়া পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের প্রস্তুতি সভা আমিরে জামায়াতের আগমনঃ রামু উপজেলার প্রস্তুতি সভা ইয়োলো হোস্ট বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এবং নির্ভরযোগ্য ওয়েব হোস্টিং সেবা দাতা ইয়োলো হোস্ট বাংলাদেশের সেরা ওয়েব হোস্টিং সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান সম্প্রচার চকরিয়া পৌরশহরে জামায়াতে ইসলামী দাওয়াতী অভিযানে ব্যাপক সাড়া। গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার ইসলামী ছাত্রসেনার উদ্যোগে মানববন্ধন। জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেঃ মোহাম্মদ শাহজাহান। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ। আমি উন্মাদঃ মুহাম্মদ শওকত আলী। চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামের দাওয়াতি গণসংযোগ। চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে পৌরসভা জামায়াত। চকরিয়া আইন শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক। হাজার টাকায় রক্ত পরিসঞ্চালন খরচ নির্ধারণের দাবি মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের। পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

রমজান মাসে দান সদকার উপকারিতাঃ মাওলানা ইয়াহিয়া পারভেজ।

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে
রমজান মাস মানুষকে দানশীলতা, বদান্যতা, উদারতা ও মহত্বের শিক্ষা দেয়। কোনো প্রকার অপচয় না করে রোজার মাসে মানুষের সেবায় দান-সদকা করলে অভাবক্লিষ্ট মানুষের কল্যাণ হয় এবং মানবতা উপকৃত হয়। আল্লাহ বলেন,
خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ.
হে নবী! তাদের ধন-সম্পদ থেকে সদকা নিয়ে তাদেরকে পাক-পবিত্র করুন, (নেকির পথে) তাদের এগিয়ে দিন এবং তাদের জন্য রহমতের দোয়া করুন।[সুরা তওবা-১০৩]
রাসুল সা.মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক উদার ও দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে যখন জিবরাইল আ.নিয়মিত আসতে শুরু করতেন, তখন তার দানশীলতা বহুগুণ বেড়ে যেত।
রমজানে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ মাসে যত বেশি দান-সদকা করা যাবে, তা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। দান-সদকার এমন ঈর্ষণীয় ফজিলত বা উপকার অন্যান্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। শুধু রমজানেই এই অফার সীমাবদ্ধ।
নিম্নে দান-সদকার হাদীস ও কোরআনে উল্লেখিত উপকারিতা পেশ করবো ইনশাআল্লাহ।
১.দান-সদকা করা আল্লাহর আদেশ।
وَاَنْفِقُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ لَا تُلْقُوْا بِاَیْدِیْكُمْ اِلَى التَّهْلُكَةِ.
আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো না।[সূরা বাক্বারা-১৯৫]
২.কিয়ামতের কঠিন মুহূর্ত আসার আগে দান কর।
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْفِقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ یَوْمٌ لَّا بَیْعٌ فِیْهِ وَلَا خُلَّةٌ وَّلَا شَفَاعَةٌ وَ الْكٰفِرُوْنَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.
হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদের যা কিছু ধন-সম্পদ দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করো, সেই দিনটি আসার আগে, যেদিন কেনাবেচা চলবে না, বন্ধুত্ব কাজে লাগবে না এবং কারো কোন সুপারিশও কাজে আসবে না। আর জালেম আসলে সেই ব্যক্তি যে কুফরী নীতি অবলম্বন করে।[সূরা বাক্বারা-২৫৪]
৩.দানের বিষয়ে আল্লাহর উদাহরণ।
مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَن ْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِیْ كُلِّ سُن ۢ ْبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ وَاللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَاللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ.
যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের ব্যয়ের দৃষ্টান্ত হচ্ছেঃ যেমন একটি শস্যবীজ বপন করা হয় এবং তা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়, যার প্রত্যেকটি শীষে থাকে একশতটি করে শস্যকণা। এভাবে আল্লাহ‌ যাকে চান, তার কাজে প্রাচুর্য দান করেন। তিনি মুক্তহস্ত ও সর্বজ্ঞ।[সূরা বাক্বারা-২৬১]
৪.পবিত্র বস্তু দান-সদকা করার আদেশ।
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْفِقُوْا مِنْ طَیِّبٰتِ مَا كَسَبْتُمْ وَ مِمَّاۤ اَخْرَجْنَا لَكُمْ مِّنَ الْاَرْضِ.
হে ঈমানদারগণ! যে অর্থ তোমরা উপার্জন করেছো এবং যা কিছু আমি জমি থেকে তোমাদের জন্য বের করে দিয়েছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট অংশ আল্লাহ‌র পথে ব্যয় করো।[সূরা বাক্বারা-২৬৭]
৫.জাহান্নামকে ভয় কর এক টুকরো খেজুরের বিনিময়ে হলেও।
عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ مَا قَدَّمَ مِنْ عَمَلِهِ وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلاَ يَرَى إِلاَّ النَّارَ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ قَالَ الأَعْمَشُ وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ عَنْ خَيْثَمَةَ مِثْلَهُ وَزَادَ فِيهِ وَلَوْ بِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ
আদী ইবনু হাতিম রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সা.বলেছেন-তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার রবব অতি সত্বর কথা বলবেন। তার ও আল্লাহর মাঝখানে কোন তর্জমাকারী থাকবে না। এরপর সে তাকাবে ডান দিকে, তখন তার আগের আমাল ব্যতীত সে আর কিছু দেখবে না। আবার তাকাবে বাম দিকে, তখনো আগের আমাল ব্যতীত আর কিছু সে দেখবে না। আর সামনে তাকাবে তখন সে জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছুই দেখতে পাবে না। কাজেই জাহান্নামকে ভয় কর এক টুকরো খেজুরের বিনিময়ে হলেও।খায়সামা রহ.থেকে অনুরূপই বর্ণনা দিয়েছেন। তবে তিনি وَلَوْ بِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ   যদি পবিত্র কথার বদলেও হয় কথাটুকু  যোগ করেছেন।[বুখারী-৭৫১২, মুসলিম-১০১৬]
৬.রাসূল সা.শরীরের প্রত্যেক ঝুড়ার জন্য সদকা করতে বলেছেন।
قَالَ سَمِعْتُ أَبِي بُرَيْدَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي الإِنْسَانِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ مَفْصِلاً فَعَلَيْهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ عَنْ كُلِّ مَفْصِلٍ مِنْهُ بِصَدَقَةٍ.‏قَالُوا وَمَنْ يُطِيقُ ذَلِكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ ‏النُّخَاعَةُ فِي الْمَسْجِدِ تَدْفِنُهَا وَالشَّىْءُ تُنَحِّيهِ عَنِ الطَّرِيقِ فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فَرَكْعَتَا الضُّحَى تُجْزِئُكَ.‏
বুরাইদাহ রা.থেকে বর্ণিত,আমি রাসূল সা. কে বলেতে শুনেছি: মানুষের শরীরে তিনশো ষাটটি গ্রন্থি রয়েছে। তার প্রতিটি জোড়ার জন্য সদাক্বাহ করা উচিৎ। লোকজন বলল, কেউ কি এতো সদাক্বাহ করতে সক্ষম, হে আল্লাহর নাবী! তিনি বললেন-তুমি মাসজিদের শ্লেষ্মা পুতে দিবে এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলবে। তুমি যদি তা নাও পারো তাহলে চাশতের সময় দুই রাকআত সলাত আদায় করবে, এতেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।[আবু দাউদ-৫২৪২]
৭.সদকা আল্লাহর রাগকে ঠান্ডা করে দেয়।
عن عبدالله بن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم۔صِلَةُ الرَّحِمِ تَزيدُ في العُمْرِ ، و صَدَقةُ السِّرِّ تُطفِئُ غضبَ الرَّبِّ٠
আব্দুল্লাহ ইবনে মসউদ রা.হতে বর্নিত, রাসূল সা.বলেন- আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর তোমাদের হায়াত বৃদ্ধি পাবে। আর গোপনে দান কর যা আল্লাহর রাগকে ঠান্ডা করে দিবে।[সহীহুল জামীউ-৩৭৬৬]
৮.দান-খাইরাত গুনাহসমূহ বিলীন করী।  ‏
® মুআয ইবনু জাবাল রা.থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমি কোন এক ভ্রমণে নবী সা.এর সাথে ছিলাম। একদিন যেতে যেতে আমি তার নিকটবর্তী হলাম। আমি বললাম, হে রাসূল সা.!এমন একটি কাজ সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম হতে দূরে রাখবে। তিনি বললেন-তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা সহজ করে দেন। তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ করবে। তিনি আরো বললেন-আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহ সম্পর্কে বলে দিব না? রোযা হলো ঢালস্বরূপ,
وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ
দান-খাইরাত গুনাহসমূহ বিলীন করে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় এবং কোন ব্যক্তির মধ্যরাতের নামায আদায় করা। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেন-তাদের দেহ পাশ বিছানা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা তাদের প্রভুকে ডাকে আশায় ও ভয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ। (সূরা সাজদাহ ১৬, ১৭) তিনি আবার বলেন-আমি কি সমস্ত কাজের মূল, স্তম্ভ ও সর্বোচ্চ শিখর সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন-সকল কাজের মূল হলো ইসলাম, স্তম্ভ হলো নামায এবং সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। তিনি আরো বললেন-আমি কি এসব কিছুর সার সম্পর্কে তোমাকে বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেন-এটা সংযত রাখ। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নাবী! আমরা যে কথা-বার্তা বলি এগুলো সম্পর্কেও কি পাকড়াও করা (জবাবদিহি) হবে? তিনি বলেন-
يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ
হে মুআয! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষকে শুধুমাত্র জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।[ইবনু মাজা-৩৯৭৩,তিরমিজি- ২৬১৬]
৯.দান-সদকা কবরের আগুন হতে বাচার হাতিয়ার।
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ, قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ عَنْ أَهْلِهَا حَرَّ الْقُبُورِ, وَإِنَّمَا يَسْتَظِلُّ الْمُؤْمِنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي ظِلُّ صَدَقَتِهِ٠
হযরত উকবা ইবনে আমের রা.হতে বর্ণিত,রাসূল সক.বলেন-নিশ্চয় সদকা কবরবাশীর জন্য কবরের আগুনের উত্তাপকে নিভিয়ে দেয়। আর কিয়ামতের দিন মুমিন কৃত দান-সদকার নিচে অবস্থান করবে।[সিলসীলাতুস সহিহা-৩৪৮৪]
১০.গুপন সদকা আরশের নিচে ছায়া দান কারী।
 ® আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,রাসূল সা. বলেছেন-যে দিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না, সে দিন আল্লাহ সাত প্রকার মানুষকে সে ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। (১) ন্যায়পরায়ণ শাসক। (২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদতের ভিতর গড়ে উঠেছে। (৩) যার অন্তরের সম্পর্ক সর্বদা মসজিদের সাথে থাকে। (৪) আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে যে দুব্যক্তি পরষ্পর মহব্বত রাখে, উভয়ে একত্রিত হয় সেই মহব্বতের উপর আর পৃথক হয় সেই মহব্বতের উপর। (৫) এমন ব্যক্তি যাকে সম্ভ্রান্ত সুন্দরী নারী (অবৈধ মিলনের জন্য) আহবান জানিয়েছে। তখন সে বলেছে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। (৬)
وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ،
যে ব্যক্তি গোপনে এমনভাবে সদকা করে যে, তার ডান হাত যা দান করে বাম হাত তা জানতে পারে না। (৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাতে আল্লাহর ভয়ে তার চোখ হতে অশ্রু বের হয়ে পড়ে।[বুখারী-১৪২৩]
১১.সদকা রোগের চিকিৎসা।
عن أبي أمامة الباهلي رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول: دَاوُوا مَرضاكُمْ بِالصَّدقةِ.
আবি উমামা বাহেলী রা.হতে বর্ণীত,নিশ্চয়  রাসূল সা.বলেছেন- তোমারা সদকা দ্বারা রোগের চিকিৎসা কর।[সহীহুল জামিউ-৩৩৫৮]
১২.সদকা অন্তর নরম কারী।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أَنَّ رَجُلًا شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسْوَةَ قَلْبِهِ، فَقَالَ لَهُ إِنْ أَرَدْتَ أَنْ يَلِينَ قَلْبُكَ فَأَطْعِمِ الْمِسْكِينَ،وَامْسَحْ رَأْسَ الْيَتِيمِ٠
আবুহুরায়রা রা.বলেন-এক ব্যাক্তি নিজের কঠিন অন্তরের বিষয়ে শিখায়ত করলে, রাসূল সা.বলেন-তুমি নিজের অন্তরকে নরম করতে চাইলে মিসকিন দের খাবার দাও এবং এতিম দের মাথায় হাত বুলাও।
[সহীহুল জামিউ-৪৯৩০]
১৩.সদকা বিপদ রক্ষা কারী।.‏
® আল-হারিস আল-আশআরী রা.থেকে বর্ণিত,নবী সা.বলেছেন-আল্লাহ ইয়াহইয়া ইবনু যাকারিয়া আ.কে পাঁচটি বিষয়ের আদেশ করলেন যেন তিনি নিজেও তদনুযায়ী আমাল করেন এবং বানী ইসরাঈলকেও তা আমাল করার আদেশ করেন। তিনি এ নির্দেশগুলো লোকদেরকে জানাতে বিলম্ব করলে ঈসা আ.তাকে বললেন-আল্লাহ আপনাকে পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন যেন আপনি সে মুতাবিক আমাল করেন এবং বানী ইসরাঈলকেও তা আমাল করার আদেশ করেন। এখন আপনি তাদেরকে এগুলো করতে নির্দেশ দিন, তা না হলে আমিই তাদেরকে সেগুলো করতে নির্দেশ দিব। ইয়াহইয়া আ.বললেন-আপনি এ বিষয়ে যদি আমার অগ্রবর্তী হয়ে যান তবে আমার ভয় হচ্ছে যে, আমাকে ভূগর্ভে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে কিংবা আযাব নেমে আসবে। সুতরাং তিনি লোকদেরকে বাইতুল মাকদিসে একত্র করলেন। সব লোক সমবেত হওয়াতে মসজিদ ভরে গেল, এমনকি তারা ঝুলন্ত বারান্দায় গিয়েও বসল। তারপর ইয়াহইয়া আ. তাদেরকে বললেন-আল্লাহ আমাকে পাচটি বিষয়ের নির্দেশ প্রদান করেছেন, যেন আমি সে মুতাবিক আমাল করি এবং তোমাদেরকেও আমাল করার আদেশ করি। এগুলোর প্রথম নির্দেশটি হল : তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে এবং তার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার স্থাপন করবে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে তার উদাহরণ হল এমন এক ব্যক্তি যে তার খালিস সম্পদ অর্থাৎ-সোনা অথবা রুপার বিনিময়ে একটি দাস কিনল। সে তাকে (বাড়ী এনে) বলল, এটা আমার বাড়ী আর এগুলো আমার কাজ। তুমি কাজ করবে এবং আমাকে আমার প্রাপ্য দিবে। তারপর সেই দাস কাজ করত ঠিকই কিন্তু মালিকের প্রাপ্য দিয়ে দিত অন্যকে। তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে স্বীয় দাসের এমন আচরণে সন্তুষ্ট থাকতে পারে? আর আল্লাহ তোমাদেরকে নামায আদায়ের জন্য আদেশ করেছেন। তোমরা নামায আদায়কালে এদিক সেদিক তাকাবে না। কেননা আল্লাহ তার চেহারা নামায়ীর চেহারার দিকে নিবিষ্ট করে রাখেন বান্দা নামাযের মধ্যে এদিক সেদিক না তাকানো পর্যন্ত। আর আমি তোমাদের রোযার নির্দেশ দিচ্ছি। এর উদাহরণ হল সেই ব্যক্তি যে কন্তুর ভর্তি একটি থলেসহ একদল মানুষের সাথে আছে। কস্তুরীর সুগন্ধ দলের সবার নিকট খুবই ভালো লাগে। আর রোযাদারের মুখের সুগন্ধ আল্লাহর নিকট কন্তুরীর সুগন্ধের চাইতেও অধিক প্রিয়।
وَآمُرُكُمْ بِالصَّدَقَةِ فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَسَرَهُ الْعَدُوُّ فَأَوْثَقُوا يَدَهُ إِلَى عُنُقِهِ وَقَدَّمُوهُ لِيَضْرِبُوا عُنُقَهُ فَقَالَ أَنَا أَفْدِيهِ مِنْكُمْ بِالْقَلِيلِ وَالْكَثِيرِ ‏.‏ فَفَدَى نَفْسَهُ مِنْهُمْ
আমি তোমাদের দান- খাইরাতের আদেশ দিচ্ছি। এর উদাহরণ হল সেই ব্যক্তির ন্যায় যাকে শক্ররা বন্দী করে তার ঘাড়ের সাথে হাত বেঁধে ফেলেছে এবং তাকে হত্যার জন্য বদ্ধভূমিতে নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে বলল, আমি আমার প্রাণের বিনিময়ে আমার সমস্ত সম্পদ তোমাদেরকে দিচ্ছি। তারপর সে নিজেকে মালের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিল (দান-খাইরাতের মাধ্যমেও বান্দা নিজেকে বিপদমুক্ত করে নেয়)। আমি তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি যেন তোমরা আল্লাহর যিকর কর। যিকরের উদাহরণ হল সেই ব্যক্তির ন্যায় যার দুশমনেরা তার পিছু ধাওয়া করছে। অবশেষে সে একটি সুরক্ষিত দুর্গে প্রবেশ করে শক্র হতে নিজের প্রাণ রক্ষা করল। তদ্রুপ কোন বান্দা আল্লাহর যিকির ব্যতীত নিজেকে শাইতানের হাত থেকে মুক্ত করতে পারে নাবী সা. বললেন- আমিও তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি যেগুলো প্রসঙ্গে আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন। কথা শুনবে, আনুগত্য করবে, জিহাদ করবে, হিজরাত করবে এবং জামা’আতবদ্ধ হয়ে থাকবে। যে লোক জামাআত হতে এক বিঘত পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হল সে ইসলামের বন্ধন তার ঘাড় হতে ফেলে দিল, যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। আর যে লোক জাহিলিয়াত আমলের রীতি-নীতির দিকে আহবান করে সে জাহান্নামীদের দলভুক্ত। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল ! সে নামায আদায় করলেও, রোযা রাখলেও তিনি বললেন-হ্যা, সে নামায-রোযা করলেও। সুতরাং তোমরা সেই আল্লাহর ডাকেই নিজেদেরকে ডাকবে যিনি তোমাদেরকে মুসলিম, মুমিন ও আল্লাহর বান্দা নাম রেখেছেন।[তিরমিজি-২৮৬৩, মিশকাত-৩৬৯৪]
১৪.প্রিয় বস্তু দান করারতে প্রকৃত কল্যাণ।
 ‏
® আনাস রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, মদীনার আনসারীগণের মধ্যে আবূ তালহা রা.সবচাইতে বেশী খেজুর বাগানের মালিক ছিলেন। মসজিদে নাববীর নিকটবর্তী বায়রুহা নামক বাগানটি তাঁর কাছে অধিক প্রিয় ছিল। রাসূল সা.তাঁর বাগানে প্রবেশ করে এর সুপেয় পানি পান করতেন। আনাস রা.বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোلَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏“তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না”- (আল-ইমরান-৯২)। তখন আবূ তালহা রা. রাসূল সা.এর কাছে গিয়ে বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ বলেছেন- “তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না”- (আল-ইমরান-৯২)। আর বায়রুহা বাগানটি আমার কাছে অধিক প্রিয়। এটি আল্লাহর নামে সদকা করা হলো, আমি এর কল্যাণ কামনা করি এবং তা আল্লাহর নিকট আমার জন্য সঞ্চয়রূপে থাকবে। কাজেই আপনি যাকে দান করা ভাল মনে করেন, তাকে দান করুন। তখন আল্লাহর রাসূল সা.বললেন-
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَخْ، ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ، ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ، وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِينَ.‏ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَبَنِي عَمِّهِ‏
তোমাকে ধন্যবাদ, এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ, এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ। তুমি যা বলেছ তা শুনলাম। আমি মনে করি, তোমার আপন জনদের মধ্যে তা বন্টন করে দাও। আবূ তালহা রা.বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাই করব। অতঃপর তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজন, আপন চাচার বংশধরের মধ্যে তা বন্টন করে দিলেন[বুখারী-১৪৬১]
১৫.দানকারী জন্য ফেরেশতারা আল্লাহর নিকট দোয়া করেন।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,নবী সা. বলেছেন-প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন।[বুখারী-১৪৪২]
১৬.দান করলে সম্পদ কমে না।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللَّهُ رَجُلاً بِعَفْوٍ إِلاَّ عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ.‏
আবূ হুরাইরা রা.থেকে বর্ণিত,রাসূল সা. বলেছেন-যাকাত বা দানের কারনে কখনো সম্পদের কমতি হয় না। অবশ্যই ক্ষমা ও উদারতার দ্বারা আল্লাহ মান- সম্মান বাড়িয়ে দেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে যে লোক বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ তাকে অতি মর্যাদা সম্পন্ন করেন।[তিরমিজি-২০২৯]
১৭.যা দাস করে তা থাকে বাকী সব চলে যায়।
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهُمْ ذَبَحُوا شَاةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا بَقِيَ مِنْهَا.‏ قَالَتْ مَا بَقِيَ مِنْهَا إِلاَّ كَتِفُهَا.‏ قَالَ بَقِيَ كُلُّهَا غَيْرَ كَتِفِهَا.‏
আয়িশা রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, কোন একদিন সাহাবীগণ একটি ছাগল যবেহ করলেন। নবী সা.প্রশ্ন করলেন, এর আর কি বাকী আছে? তিনি আয়িশা রা. বললেন, এর কাঁধের অংশ ছাড়া আর কিছু বাকী নেই (দান করা হয়েছে)। তিনি বললেন, কাঁধ ব্যতীত সবটুকুই অবশিষ্ট রয়েছে (যা কিছু দান করা হয়েছে তা-ই আল্লাহর নিকট বাকী রয়েছে)।[তিরমিজি-২৪৭০]
১৮.যারা দান করে তাদেরকে দ্বিগুণ  প্রতিদান তিতেই থাকেন।
اِنَّ الْمُصَّدِّقِیْنَ وَ الْمُصَّدِّقٰتِ وَ اَقْرَضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا یُّضٰعَفُ لَهُمْ وَ لَهُمْ اَجْرٌ كَرِیْمٌ
দান সাদকা প্রদানকারী নারী ও পুরুষ এবং যারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করে, নিশ্চয়ই কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে তাদেরকে ফেরত দেয়া হবে। তাছাড়াও তাদের জন্য আছে সর্বোত্তম প্রতিদান।[সূরা হাদীদ-১৮]
১৯.কিয়ামতের দিন দান নামক দরজা দিয়ে দানকারীদের ডাকা হবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللهِ نُودِيَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ يَا عَبْدَ اللهِ هَذَا خَيْرٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلاَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا عَلَى مَنْ دُعِيَ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ مِنْ ضَرُورَةٍ فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ كُلِّهَا قَالَ نَعَمْ وَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ
আবূ হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,রসূল সা. বলেছেন-যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ হতে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব যে সালাত আদায়কারী, তাকে সলাতের দরজা হতে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ, তাকে জিহাদের দরজা হতে ডাকা হবে। যে সিয়াম পালনকারী, তাকে রাইয়্যান দরজা হতে ডাকা হবে। যে সদাকাহ দানকারী, তাকে সদাকাহ্‌র দরজা হতে ডাকা হবে। এরপর আবূ বকর রা.বললেন,হে আল্লাহর রসূল! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক, সকল দরজা হতে কাউকে ডাকার কোন প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা হতে ডাকা হবে? রসূল সা.বললেন- হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে।[বুখারী-১৮৯৭]
২০.দান কারীকে আল্লাহ সফল মুমিন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
وَ یُؤْثِرُوْنَ عَلٰۤى اَنْفُسِهِمْ وَ لَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ ۫ؕ وَ مَنْ یُّوْقَ شُحَّ نَفْسِهٖ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَۚ
যা কিছুই তাদের দেয়া হোক না কেন এরা নিজেদের মনে তার কোন প্রয়োজন পর্যন্ত অনুভব করে না এবং যত অভাবগ্রস্তই হোক না কেন নিজেদের চেয়ে অন্যদের অগ্রাধিকার দান করে। মূলত যেসব লোককে তার মনের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তারাই সফলকাম।[সূরা হাশর-৯]
২১.ইচ্ছা করে দারিদ্রতার দরজা খুললে তাকে তিরস্কার করেছেন।
أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ الأَنْمَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ.‏ قَالَ  مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ  إِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالاً وَلاَ عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ.‏
আবূ কাবশা আল-আনমারী রা.থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূল সা.কে বলতে শুনেছেন আমি তিনটি বিষয়ে শপথ করছি এবং সেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি। তোমরা এগুলো মনে রাখবে। তিনি বলেন, দান-খাইরাত করলে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দার উপর যুলুম করা হলে এবং সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ অবশ্যই তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দাহ ভিক্ষার দরজা খুললে অবশ্যই আল্লাহও তার অভাবের দরজা খুলে দেন অথবা তিনি অনুরূপ কথা বলেছেন। আমি তোমাদেরকে একটি কথা বলছি, তোমরা তা মুখস্থ রাখবে। তারপর তিনি বলেন-চার প্রকার মানুষের জন্য এই পৃথিবী। আল্লাহ যে বান্দাহকে ধন-সম্পদ ও ইলম (জ্ঞান) দিয়েছেন, আর সে এই ক্ষেত্রে তার প্রভুকে ভয় করে, এর সাহায্যে আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করে এবং এতে আল্লাহরও হক আছে বলে সে জানে, সেই বান্দার মর্যাদা সর্ব্বোচ্চ। আরেক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ ইলম দিয়েছেন কিন্তু ধন-সম্পদ দেননি সে সৎ নিয়্যাতের (সংকল্পের) অধিকারী। সে বলে, আমার ধন-সম্পদ থাকলে আমি অমুক অমুক ভালো কাজ করতাম। এই ধরনের লোকের মর্যাদা তার নিয়্যাত মুতাবিক নির্ধারিত হবে। এ দুজনেরই সাওয়াব সমান সমান হবে। আরেক বান্দাহ, আল্লাহ তাকে ধন-সম্পদ প্রদান করেছেন কিন্তু ইলম দান করেননি। আর সে ইলমহীন (জ্ঞানহীন) হওয়ার কারণে তার সম্পদ স্বীয় প্রবৃত্তির চাহিদা মতো ব্যয় করে। সে ব্যক্তি এ বিষয়ে তার রবকেও ভয় করে না এবং আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহারও করে না। আর এতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তাও সে জানে না। এই লোক সর্বাধিক নিকৃষ্ট স্তরের লোক। অপর এক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদও দান করেননি, ইলমও দান করেননি। সে বলে, আমার যদি ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুক অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃত্তির বাসনামতো) কাজ করতাম। তার নিয়্যাত মুতাবিক তার স্থান নির্ধারিত হবে। অতএব, এদের দুজনের পাপ হবে সমান সমান।[ইবনু মাজা- ৪২২৮,তিরমিজি- ২৩২৫]
২২.দান-সদকা ইরশানিয় আমল।
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فَهُوَ يَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً فَهُوَ يُنْفِقُهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ ‏.‏
ইবনু উমার রা.থেকে বর্ণিত,রাসূল সা. বলেছেনঃ দুটি ক্ষেত্র ব্যতীত ঈর্ষা করা জায়েয নেই। এক.যাকে আল্লাহ কুরআন দান করেছেন এবং সে দিন-রাত সর্বক্ষণ তার উপর কায়েম থাকে।দুই.যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সে তা দিন-রাত সর্বক্ষণ (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে।[বুখারী ৭৫২৯, মুসলিম ৮১৫,ইবনে মাজা-৪২০৯]
২৩.মুমিনের ঈমানের পরিচয় হচ্ছে সাদকা করা।
عَنْ أَبِي مَالِكٍ الْحَارِثِ بْنِ عَاصِمٍ الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم “الطَّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلَأُ الْمِيزَانَ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلَآنِ -أَوْ: تَمْلَأُ- مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَالصَّلَاةُ نُورٌ، وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ، وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ، وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَك أَوْ عَلَيْك، كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو، فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا.
আবূ মালেক আল-হারেস ইবনু আসেম আল-আশ’আরী রা.হতে বর্ণিত ,রাসূল সা.বলেছেন:”পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক; আল-হামদুলিল্লাহ্ (সমস্ত প্রশংসা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য) বললে পাল্লা পরিপূর্ণ করে দেয় এবং “সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ্ (আল্লাহ্ কতই না পবিত্র! এবং সমস্ত প্রশংসা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য) উভয়ে অথবা এর একটি আসমান ও যমীনের মাঝখান পূর্ণ করে দেয়। নামায হচ্ছে আলো, সাদকা হচ্ছে প্রমাণ, সবর উজ্জ্বল আলো, আর কুরআন তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ। প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আত্মার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সকাল শুরু করে- আর তা হয় তাকে মুক্ত করে দেয় অথবা তাকে ধ্বংস করে দেয়।[মুসলিম-২২৩]
২৪.সাদকা দ্বারা ব্যবসার ত্রুটিমুক্ত করা হয়।
عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي غَرَزَةَ، قَالَ كُنَّا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُسَمَّى السَّمَاسِرَةَ فَمَرَّ بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّانَا بِاسْمٍ هُوَ أَحْسَنُ مِنْهُ فَقَالَ ‏يَا مَعْشَرَ التُّجَّارِ إِنَّ الْبَيْعَ يَحْضُرُهُ اللَّغْوُ وَالْحَلِفُ فَشُوبُوهُ بِالصَّدَقَةِ.‏
ক্বায়িস ইবনু আবু গারাযাহ রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সা.এর যুগে আমাদেরকে (ব্যবসায়ীদের) সামাসিরাহ (দালাল সম্প্রদায়) বলা হতো। একদা রাসূল সা.আমাদের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদেরকে এই নামের চেয়ে অধিক সুন্দর নাম দিলেন। তিনি বলেন-হে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়! ব্যবসায়িক কাজে বেহুদা কথাবার্তা এবং অপ্রয়োজনীয় শপথ হয়ে থাকে। সুতরাং তোমরা ব্যবসায়ের পাশাপাশি সদাক্বাহ করে তাকে ত্রুটিমুক্ত করো।[ইবনু মাজা-২১৪৫,আবু দাউদ-৩৩২৬]
২৫.মুমিনদের দান-সদকা প্রথমে আল্লাহ  তার নিজ ডান হতে গ্রহন করেন।
عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏مَا تَصَدَّقَ أَحَدٌ بِصَدَقَةٍ مِنْ طَيِّبٍ وَلاَ يَقْبَلُ اللَّهُ إِلاَّ الطَّيِّبَ إِلاَّ أَخَذَهَا الرَّحْمَنُ بِيَمِينِهِ وَإِنْ كَانَتْ تَمْرَةً تَرْبُو فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ حَتَّى تَكُونَ أَعْظَمَ مِنَ الْجَبَلِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ.‏
সাঈদ ইবনু ইয়াসার রা.থেকে বর্ণিত,তিনি আবূ হুৱাইরা রা.কে বলতে শুনেছেন, রাসূল সা.বলেছেন-যে লোক বৈধ উপার্জন হতে দান খায়রাত করে, আর আল্লাহ হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না, সেই দান দয়াময় রাহমান স্বয়ং ডান হাতে গ্রহণ করেন, তা যদি সামান্য একটি খেজুর হয় তাহলেও। এটা দয়াময় রাহমানের হাতে বাড়তে বাড়তে পাহাড় হতেও বড় হয়ে যায়; যেভাবে তোমাদের কেউ তার দুধ ছাড়ানো গাভী বা ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন পালন করে থাকে।[বুখারী,মুসলিম,তিরমিজি- ৬৬১]
আল্লাহকে যেন আমাদের দানের হাতকে শক্তিশালী করেন। আমীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট