অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১৩ আসনের জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) সংসদীয় আসন জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে চাই। তাই জনগণের আশা পূরণে ৩শ আসনে নমিনি ঘোষণা করা হয়েছে যা আর কেনো দল পারবে না। কারণ অন্যান্য দলে প্রার্থী ঘোষনার পর থেকে মারামারি, খুনোখুনি শুরু করে দিবে কারণ এটাই অন্যান্য দলের চরিত্র। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী একমাত্র আল্লাহর আইন কায়েম করতে চায় কারো বাপের আইন কিংবা স্বামীর আইন নয়। তাই দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা আনতে হলে, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে হলে কোরআনের শাসন কায়েম করতে হবে।
এসময় আওয়ামী লীগ সরকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, নিরস্ত্র জনতা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছে কিন্তু হাসিনা সরকার তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। এমন ঘটনা ইতিহাসে বিরল। তাই এই খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আনোয়ারা-কর্ণফুলীর সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সম্মেলন ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রার্থী পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ সবার শাসন দেখা শেষ, তারা কেউ জনগনকে মুক্তি দিতে পারেনি। জনগণ এখন ইসলামের বাংলাদেশ চাই। কারণ একমাত্র ইসলামের পক্ষেই চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সম্ভব। আগামীর সংসদ হবে ইসলাম এবং কুরআন-সুন্নাহ’র সংসদ। কোনো নাচগানের সংসদ হবে না।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, জামায়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবতার মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গত ১৭ বছর ধরে কিশোর যুবকেরা ভুলে গেছে ভোট কাকে বলে। ছাত্রদের রক্তের উপরে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সে পরিবেশ রক্ষা করতে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের সম্পদ, জনগণের দল হিসেবে প্রতিটি এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল হাসান খোকার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি এড. আবু নাছের, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দক্ষিণ জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ইসমাইল হক্কানী, আনোয়ারা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাষ্টার মনসুর আলী, আনোয়ারা উপজেলার জামায়াতের আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার এম এ গণি, কর্ণফুলীর আমীর মনির আবছার চৌধুরী, ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলার সভাপতি আব্দুর রহিম, কর্ণফুলীর সেক্রেটারি নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, কর্ণফুলী বায়তুলমাল এড মো. হারুন, জুইদন্ডী ইউনিয়ন আমীর সাইয়্যেদ আতিক জামালী, হাইলধর বশিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার মাহমুদ প্রমুখ।