কক্সবাজারের উপকূলবর্তী সোনাদিয়া দ্বীপ সংলগ্ন সাগরে অভিযান চালিয়ে ১৮ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ অভিযানে লুট করা বিপুল পরিমাণ মাছসহ ‘এফবি মায়ের দোয়া ১৭৯’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়।
কোস্টগার্ড ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের কাছে সাগরে মাছ ধরার সময় একদল জলদস্যু একটি ট্রলারে হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেলে বেলালকে আঘাত করে এবং অন্যান্য জেলেদের হত্যার হুমকি দিয়ে ট্রলার থেকে মাছ, মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করে। পরে ট্রলারের ইঞ্জিন ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আক্রান্ত জেলেরা ৯৯৯-এ কল করলে অন্য একটি ট্রলার গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের আটক করে।
জব্দকৃত মাছগুলো কক্সবাজার সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পালের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত নিলামে তোলা হয়। মাছ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায় এসব মাছ কিনে নেন।
কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত তিন মাসে অন্তত ৫০টি মাছ ধরার ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে দস্যুদের গুলিতে এক জেলে নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি।
তিনি বলেন, মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ জলদস্যুদের প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় দস্যুদের লুট করা মাছ কিনে নিচ্ছেন। জলদস্যুদের পাশাপাশি এসব ব্যবসায়ী ও দস্যুদের পৃষ্ঠপোষকদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
আটক ১৮ জলদস্যুকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।