ইজতেমার মাঠে যৌতুকবিহীন এ বিয়ে পড়াবেন ভারতের মাওলানা জুহায়ের।
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা মুসলমানদের পদচারণায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। লাখো মানুষের জিকির আসকার, তসবিহ পাঠ ও ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে তুরাগ তীর।
শনিবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন। বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে এ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে।
বাংলাদেশ তাবলিগ জামাত শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছেন, শনিবার ফজরের নামাজের পর থেকেই বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা ওবায়দুর রহমান।
তাবলীগের ছয় উসুলের বয়ানে মানুষের মধ্যে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা এবং দ্বীনের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতি এবং বিশ্বের মুসলমানদের কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার বাদ আসর বয়ানের পর ইজতেমার মাঠে যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়াবেন ভারতের মাওলানা জুহায়ের।
রেওয়াজ অনুযায়ী বয়ান মঞ্চের মিম্বরের কামরার পাশে শনিবার সকাল থেকেই যৌতুকবিহীন বিয়ের হবু দম্পতির নামের তালিকাভুক্তির কাজ শুরু হয় এবং তা চলে আসর নামাজের আগ পর্যন্ত।
একটি রেজিস্ট্রারে নাম তালিকাভুক্তির পর হবু দম্পতির লোকজনদের কাছে একটি করে সিরিয়ালের টোকেন দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর বয়ান মঞ্চ থেকেই এ বিয়ে পড়ানো হবে।
তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী কনের অনুপস্থিতিতে বর-কনের অভিভাবক এবং বর সশরীরে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিয়ের আগে বর-কনের উদ্দেশ্যে বয়ান এবং বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়।
পরে বর-কনের অভিভাবকরা বয়ান মঞ্চের আশে-পাশে উপস্থিত মানুষদের মধ্যে খেজুর বিতরণ করবেন। ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী এ বিয়েতে মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।